মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র চেতনায় প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যর বাংলাদেশ,, শ্লোগানকে সামনে রেখে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন, তার রেখে যাওয়া জীবনাদর্শ চর্চা নতুন প্রজন্ম তথা সমগ্র জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ, নৈতিক মূল্যবোধের অনুশীলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন এবং সমকালীণ সমাজ কাঠামোর প্রগতিশীল পরিবর্তনের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাওয়ানোর মানসে গঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী’র সাম্রাজ্যবাদ ,সন্প্রসারণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তথা সুখী-সমৃদ্ধ শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করেই যাচ্ছে ভাসানী’র আদর্শের দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
জায়তীয়তা,গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের সাথে যোগাযোগ ও যোগদান ছাড়া কোন বিকল্প নাই।
মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন এবং জীবনাদর্শ অধ্যয়ন ও চর্চা করা এবং তা নতুন প্রজন্ম তথা জনগণের মাঝে তুলে ধরা এখন খুবি জরুরী।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্টিত আওয়ামী মুসলিম লীগ (যা পরর্তীকালে আওয়ামী লীগ নামে পরিচিত) ত্যাগ করে ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী এই দলটি প্রতিষ্টা করেন।
১৯৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর রংপুরে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনের পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিকর প্রশ্নে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
মওলানা ভাসানীকে চীনপন্থি এবং মস্কোপন্থি ন্যাপের সভাপতি হন সীমান্ত প্রদেশের আবদুল ওয়ালী খান।
পূর্ব পাকিস্তানে আবদুল ওয়ালী খানের ন্যাপের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ -এ- অংশ মোজাফফর ন্যাপ নামেও বেশ পরিচিত হয়।
ন্যাপ বাংলাদেশের একটি নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল। এই দল গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল হিসাবে এটি পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সংগঠনে নেতৃস্হানীয় ভূমিকা রেখেছিল।
১৯৭১ সালে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপ’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে কাউন্সিল অধিবেশনে পুনরায় মাওলানা ভাসানী সভাপতি ও যাদু মিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করলে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ন্যাপ বিলুপ্ত করে বাকশালে যোগদেন। আর মওলানা ভাসানী ও মশিউর রহমান যাদু মিয়া নেতৃত্বে বাকশালের তীব্র বিরোধীতা করেন।
১৯৭৬ সালে মেজর জিয়াউর রহমান একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগ নিলে সারাদেশের ন্যাপের নেতা কর্মি নিয়ে জাতীয়তাবাদীর রুপকার মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করে ন্যাপে’র নির্বাচনী প্রতিক “ধানেরশীষ” জিয়ার হাতে তুলে দেন।
সময়ের পরিবর্তনে ও পরবর্তীতে যাদু মিয়ার জেষ্ট্যপুত্র সাবেক মন্ত্রী শফিকুল গানি স্বপনের নেতৃত্বে ন্যাপ পূর্ণগঠন হয়। ২০০৯ সালের ২৩ আগষ্ট শফিকুল গানি স্বপনের মৃত্যুরপর তাঁহার জেষ্ঠ্যপুত্র জনাব জেবেল রহমান গানি ন্যাপের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দলটি বর্তমান বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। যার বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। নিবন্ধন নং-০২৭, প্রতিক হচ্ছে গাভী।
[ লেখক – কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়কারী, সভাপতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা- বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ]